জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর?

বর্তমানে আপনার হাতে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর ? অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের কি কোন মেয়াদ হয়? আবার অনেকের জাতীয় পরিচয় পত্রের পিছনে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেওয়া রয়েছে তারা কি মেয়াদ উত্তীর্ণর পরে জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করতে পারবে?

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশের পর সাধারণ নাগরিকদের প্রিন্টেড লিমিনিটিং কৃত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে , তখন জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ দেয়া ছিল ১৫ বছর। শেষ অব্দি একটি সংবাদ বের হয়েছিল যে মেয়াদ উত্তীর্ণ এনআইডি কার্ডের রিনিউ করতে ফি দিতে হবে তবে এই তথ্যের কোন ভিত্তি নেই।

সর্বশেষ ২০২০ সালের তথ্যসূত্র অনুযায়ী এ পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখের মতো জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। আর উক্ত প্রত্যেক জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ছিল ২ বছর। আর এসব জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ দুই বছর দেয়ার পিছনের কারণ ছিল প্রত্যেক নাগরিককে স্মার্ট কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিকাংশ নাগরিকই স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করতে পারেনি।  আর তাই দুই বছর মেয়াদী জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে অনেকেই চিন্তা এবং ভোগান্তিতে পড়ে গেছেন। তবে এই সমস্যাটার সমাধান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করেছেন অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ অনেকটা দীর্ঘায়িত করেছেন।

জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর

নির্বাচন কমিশনের বরাতে ২০২০ সালে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ আজীবন, অর্থাৎ যাদের ২ বছর মেয়াদি কিংবা ১৫ বছর মেয়ে দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল সেসব নাগরিক অনলাইন একাউন্ট রেজিস্টার করে আজীবন মেয়াদী জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে বা করতে পারবে.। এবং নতুন যারা জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করেছেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে আজীবন।

যেহেতু ২০২০ সালের পূর্বে দুই বছর মেয়াদী জাতীয় পরিচয় পত্র নির্বাচন কমিশন প্রদান করেছিল কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল দুই বছর পরে প্রত্যেক নাগরিককে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা।  আর সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ দুই বছর শেষ হওয়ায় ইসি ওইসব জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

যারা নিবন্ধিত ভোটার তারা এখন খুব সহজেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে সর্বত্র ব্যবহার করতে পারবে।

যাদের প্রিন্টের জাতীয় পরিচয়পত্রের পিছনে  মেয়াদ দেওয়া রয়েছে তারা অনলাইন থেকে হুবহু একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে যার পিছনে কোন মেয়াদ দেওয়া থাকবে না।  এমনকি যারা নতুন স্মার্ট কার্ড পেয়েছে স্মার্ট কার্ডের মেয়াদও আজীবন। স্মার্ট কার্ডের পেছনে কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেওয়া থাকে না তাই ধরা যায় এটি একটি আজীবনের জাতীয় পরিচয় পত্র।

সম্পর্কিত পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।