নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করুন

এখন আপনি চাইলে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন এবং জানতে পারবেন নাম্বারটি সঠিক কিনা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রটি বৈধ কিনা। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ব্যক্তির নাম এবং তথ্য দেখতে পারবেন না কারণ এটি সুরক্ষিত। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে জাতীয় পরিচয় পত্রটি রয়েছে কিনা তা জানা যাবে এই পদ্ধতিতে।

বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার দরকার হয়। কখনো কখনো কোন ক্রয় বিক্রয় জনিত কারণে, বাসা ভাড়া, কোন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইত্যাদি, ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র টি সঠিক কিনা তা জানতে হয়। কিছু কিছু আইটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সাথে ডাটাবেজ কানেক্টেড থাকায় তারা সহজেই যে কারো এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে পারে এবং বিস্তারিত তথ্য ছবি এবং নাম দেখতে পারে।

এক্ষেত্রে একজন সাধারণ ব্যক্তি ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই যে কারো এনআইডি কার্ডের তথ্য দেখতে পারবে না তবে আইডি কার্ডটি বৈধ কিনা তা চেক করতে পারবেন। কি সেই পদ্ধতি চলুন জেনে নেই –

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক

এন আই ডি নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার জন্য ভিজিট করতে হবে অটোমেটিক চালান সিস্টেম ওয়েবসাইটে। এরপরে পাসপোর্ট অপশনে বিতরণের ধরন সিলেক্ট করে ব্যক্তি হিসেবে আপনার এনআইডি নাম্বার এবং সঠিক জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। এরপরে Check NID ক্লিক করলে আইডি কার্ডের বৈধতা জানা যাবে।

নোটঃ আপনি হয়তো মোবাইল নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার বিষয়টি খুঁজছেন, কিন্তু যে কারো মোবাইল নাম্বার কোন আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা তা একমাত্র সেম কোম্পানির কাছে সংরক্ষিত থাকে। নিবন্ধিত ব্যক্তি ছাড়া এটি বের করার কোন সুযোগ নেই।

পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ldtax ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে পরবর্তী ধাপে গেলেই যেকোনো ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি নাম এবং পিতার নাম দেখা যেত. তবে বর্তমানে সেই সুবিধা টি আর চালু নেই। আইডি কার্ড চেক করতে এখন একটি মাত্র পদ্ধতিতে চালানো ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
  • প্রথমে ভিজিট করুন অটোমেটিক চালান ওয়েবসাইটে
  • এরপরে পাসপোর্ট ফি অপশনে যান
  • পাসপোর্ট এর যে কোন একটি অপশন বাছাই করুন
  • এরপরে ব্যক্তি লেখাটিতে ক্লিক করুন
  • এরপরে আইডি কার্ড নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লিখুন
  • সব শেষে Check NID ক্লিক করলে আইডি কার্ডের তথ্য পাওয়া যাবে

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার ভিন্ন পদ্ধতি

প্রথমত হল যার আইডি কার্ড চেক করবেন তার আইডি কার্ডের সাথে করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে, এরপর নির্ধারিত ফিপ্রদান করলে কর্মকর্তাগণ এনআইডি কার্ডের ভেরিফাইড কপি সহ আইডি কার্ডটি যাচাই করে দিবেন।

দ্বিতীয়ত হল যে সমস্ত আইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ কানেক্টেড রয়েছে সেই সমস্ত সার্ভার থেকে আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন তবে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন কোন সার্ভারগুলো কানেক্টেড রয়েছে। বর্তমানে porichoy.gov.bd নামক সার্ভার থেকে বিভিন্ন আইটি কোম্পানিগুলোকে এনআইডির অ্যাক্সেস দেওয়া হয়।

Frequently asked Question

মোবাইল নম্বর দিয়ে কি আইডি কার্ড চেক করা যায়?

না! শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার দিয়ে যে কারো জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বের করা কখনই সম্ভব নয়। এই তথ্য গুলো একমাত্র সিম অপারেটর গুলো বের করতে পারবে।

এনআইডি যাচাই করার জন্য কি কোনো চার্জ প্রযোজ্য?

যদি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে এনআইডি কার্ড যাচাই করেন সে ক্ষেত্রে চার্জ প্রযোজ্য হবে

যদি আমার এনআইডি তথ্য ভুল থাকে তাহলে কী করতে হবে?

এন আইডি তথ্য যদি ভুল থাকে, তাহলে সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিকটস্থ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে বা অ্যাপের মাধ্যমে সংশোধনের আবেদনও করা যায়

এনআইডি চেক করতে আমার কোন কোন তথ্য প্রয়োজন হবে?

এনআইডি চেক করার জন্য সাধারণত আপনার এনআইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বারও ব্যবহার করা হতে পারে।

মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কীভাবে এনআইডি যাচাই করবো?

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার জন্য এখন পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ নেই।

সম্পর্কিত পোস্ট

51 Comments

      1. আমার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করেছিলাম আমি জানতে চাই আইডি কার্ড কি সংশোধন করা হয়েছে

    1. আমার প্রোফাইলে স্ত্রীর নাম সংশোধনের জন্য প্রায় ৩বছর আগে আবেদন করেছিলাম। এখনো সংশোধন হয়নি। কবে নাগাদ হতে পারে?

          1. ভোটার লিস্ট থেকে আপনার ভোটার নাম্বারটা সংগ্রহ করুন, তারপরে ভোটার নাম্বারটা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন

    1. আমি দ্বৈত ভোটার বন্ধের জন্য প্রায় এক বছর আগে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি। পরবর্তীতে আবেদনের অবস্থা/ফলাফল জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায় যে আবেদন খানা ৩/৪ মাস আগে নির্বাচন অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। ১০৫ এ কল করলে ওনারা আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করতে বলে পক্ষান্তরে আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করলে ওনারা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি বলে দায়সারা অযুহাত দেখায়। এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি তা জানালে উপকৃত হব। এন আইডি নং ১৫১০xx৯৮০৯৭৫৩ জন্ম তারিখ ০১ জুন ১৯৭৭ ।

  1. আমি ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার পরেও স্মার্টকার্ড পাচ্ছিনা কেন?স্ট্যাটাস চেক করলে পাওয়া যায়নি দেখায়।অথচ আমার ভোটার তালিকা অনেক আগেই এসেছে।শুধুমাত্র একটা নেট কপি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পেরেছি।এখন আমার কি করনীয়?

    1. আমি বুঝতে পেরেছি আপনি ২০১৬ সালে ভোটার হয়েছেন, বেশ কয়েক মাস আগে ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত যারা ভোটার হয়েছে তাদেরকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছিল, এই লিস্টে যদি আপনার নাম থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই স্মার্ট কার্ড পাবেন। প্রাথমিকভাবে আপনি আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন

    1. আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড পুনরায় রি ইস্যু করতে পারবেন, এক্ষেত্রে রি ইস্যু ফি প্রদান করতে হবে, অবশ্যই অনলাইনে আপনার একটি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে।

  2. আমার স্মার্ট কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় পুরাতন এন আই ডি নাম্বার দিয়ে পুরাতন এন আই ডি কার্ড বাহির করে বর্তমানে ব্যবহার করতেছি। এতে পরবর্তীতে এন আই ডি (পুরাতন ও স্মার্ট কার্ড) নিয়ে কোন সমস্যা হবে কিনা?

  3. আমি ২০২১ সালে আইডি কার্ড করার জন্য ছবি তুলি এবং আঙ্গুলের ছাপ দিই আমাকে একটা স্লিপ দেয়া হয় স্লিপ টা হারিয়ে গেছে এখন করণীয় কি

  4. আমার NID হয়েছে এবং NID number মেসেজ এ পেয়েছি,কিন্তু Nid ডাউনলোড করতে গেলে বার বার সমস্যা হচ্ছে। সব তথ্য সঠিক দেওয়ার পরেও আসছে না। আবার আমার ভাইয়ের Nid এর তথ্য দিলে তার টা ঠিকই আসতেসে।

    এই সমস্যাটা কেন হচ্ছে আর এটার সমাধান কি?

  5. আমার আইডি কার্ড টাইপিং এর সময় মোবাইল নাম্বার ভুল হয়েছিল এখন আমি কিভাবে এসএমএস পাব ?
    আমি সাথে সাথে জানাইছিলাম তখন উনি বলছিল পরে যোগাযোগ করতে এখন আমার করনীয় কি?
    আমি সাথে সাথে ভুল হয়েছে বলার পরে ও উনারা আমার ফরমের পাশে কলম দিয়ে সঠিক করে দিয়েছেন আর বলেছেন আইডি কার্ড আসার সময় সঠিক হয়ে আসবে
    এখন আমি জানতে চাই আসলে কি সঠিক হয়ে আসবে?

  6. আপু আমার মায়ের নাম কামরুন্নাহার আক্তার বীনা। কিন্তু কোথাও আমার মায়ের নাম কামরুন্নাহার ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া মোছাঃ বীনা আক্তার দিয়ে আমার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয় এবং সেই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সব জায়গায় কার্যক্রম করা হয়েছে। কিন্তু যখন ২০১৪ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম শুরু হয় তখন আমার জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার মায়ের নাম ভুলবশতঃ কামরুন্নাহার লেখা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার মায়ের নাম সংশোধন করার জন্য আমার কি করণীয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।