ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে জানালো ইসি

নতুন ভোটার আবেদন করার পরে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান শেষে কত দিনের ব্যবধানে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকের প্রশ্নের শেষ নেই। নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া এক ধরনের আনন্দের বিষয়। আর তাই নাগরিকরা বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান শেষে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে তাদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার আশায়। একটা নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি।

ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে

ছবি তোলার কতদিন পর এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়?

ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই আপনি ভোটার নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। এটা জমা দিতে হয় আপনার স্থানীয় ঠিকানার উপজেলা নির্বাচন অফিসের অনু বিভাগে অথবা সরাসরি ঢাকা আগারগাঁও নির্বাচন অফিসের এনআইডি অনু বিভাগে। এরপরে একটা টাইম দেওয়া হয় বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট করার জন্য।

বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টে নাগরিকের ছবি তোলা হয়, এর সাথে হাতের আঙ্গুলের ছাপ চোখের আইরিশ সংরক্ষণ করা হয়। পরিশেষে ভোটার নিবন্ধন ফরমের একটি অংশ (টোকেন) দেওয়া হয়।

এরপরে অধীর অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আসবে এবং কখন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। আবার অনেকেই প্রশ্ন করেন স্মার্ট কার্ড পেতে কতদিন লাগে কিংবা স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম থেকে শুরু করে এনআইডি কার্ড অনলাইন কপি এনআইডির মূল সার্ভারে আসা অব্দি কয়েকটা ধাপে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বাড়ি বাড়ি ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমে এই ধাপগুলো অতিক্রম হতে সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগতে পারে এর পরে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে পাওয়া যায় । তবে আপনি যদি নিজে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধন আবেদন করেন সেক্ষেত্রে ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩০ দিন সময়ের কথা বলা রয়েছে।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম কয়েকটা ধাপে সম্পন্ন হয় –

  1. প্রথম ধাপ: তথ্য সংগ্রহ
  2. দ্বিতীয় ধাপ  : ফরম পুনঃযাচাই করণ
  3. তৃতীয় ধাপ : নিবন্ধন কেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহ ও পরিচিতি যাচাই ( Biometric )
  4. চতুর্থ ধাপ : প্রতিবন্দ্বী, জেলখানার ভোটার, বাদ পড়া ভোটার ও অসুস্থদের নিবন্ধন
  5. পঞ্চম ধাপ : তথ্য উপজেলা সার্ভারে প্রক্রিয়াজাতকরণ
  6. ষষ্ঠ ধাপ : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও চুড়ান্তকরণ

তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে উপজেলা সার্ভারের প্রক্রিয়াজাতকরণ করা অবধি কয়েকটা ধাপ অতিক্রম করার পরেই জাতীয় পরিচয় পত্র তথা এন আইডি কার্ডের অনলাইন কপি প্রক্রিয়াধীন করে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনু বিভাগের সার্ভারে আপলোড করা হয়। এর সাথে যাদের বয়স ১৮ পরিপূর্ণ হয়েছে তাদের তাদেরকে খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবং যারা নিজে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার আবেদন করেন তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু ভিন্ন। তবে সবমিলিয়ে ৩০ দিনের বেশি লাগবে না।

নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে নাগরিকগণ তাদের রেজিস্ট্রেট মোবাইল নাম্বারে নির্বাচন কমিশন ১০৫ নম্বর থেকে এসএমএস পাবেন। এরপরে তাদের টোকেন নাম্বার কিংবা এসএমএস থেকে প্রাপ্ত এনআইডি নম্বর এবং তাদের জন্ম তারিখ ব্যবহার করে একাউন্ট তৈরি করতে পারে।

এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার মাধ্যমে প্রোফাইলে প্রবেশ করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই ফ্রিতে এনআইডি কার্ডের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে পারবে।

স্মার্ট কার্ড পেতে কতদিন লাগে?

নরমাল লেমিনেটিং ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি এবং স্মার্ট কার্ডের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। তাই স্মার্ট কার্ড প্রক্রিয়াকরণ এবং মুদ্রণ এবং সরবরাহ ব্যাপক সময়ের ব্যাপার।

একজন ব্যক্তি নতুন ভোটার নিবন্ধন হওয়ার পরে সাথে সাথে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন একযোগে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি প্রণয়ন করেন, এবং একটি তালিকা অনুযায়ী স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট এবং বিতরণ করেন। এক্ষেত্রে আপনি স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন এটা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনই জানে। ইতোমধ্যে ২০০৮ -২০১৭ সাল অব্দি নিবন্ধিত সকল পুরনো ভোটারদেরকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালের নতুন ভোটারদেরকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে বর্তমানে যারা নিবন্ধিত হচ্ছেন এবং ২০১৮/২০২০ থেকে বর্তমান সময় অবধি, তাদের হয়তো পরবর্তী একটি কার্যক্রমের একসাথে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।